Monday, 7 November 2016

পশুরোগ আইন, ২০০৫

সংজ্ঞা 

বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-() “নির্ধারিতঅর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত;() “নিবন্ধনঅর্থ ধারা ১৮ এর অধীন প্রদত্ত কোন নিবন্ধন;
() “পশুঅর্থ নিম্নবর্ণিত সকল ধরণের পশু অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:-
() মানুষ ব্যতীত সকল স্তন্যপায়ী প্রাণী;
() পাখি;
() সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী;
() মত্স্য ব্যতীত অন্যান্য জলজ প্রাণী; এবং
() সরকার কর্তৃক সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা ঘোষিত অন্য কোন পশু;
() “পশুজাত পণ্যঅর্থ পশু বা পশুর মৃতদেহ হইতে, আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে, সংগৃহীত বা প্রস্তুতকৃত যে কোন পণ্য এবং পশুর মাংস, রক্ত, হাড়, মজ্জা, দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্য, ডিম, চর্বি, পশু হইতে উত্পাদিত খাদ্য সামগ্রী, বীর্য, ভ্রূণ, শিরা-উপশিরা, লোম, চামড়া, নাড়ি-ভুঁড়ি, এবং সরকার কর্তৃক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারিত পশুদেহের অন্য যে কোন অংশ বা পশুজাত পণ্যও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
() “রোগঅর্থ তফসিলে উল্লিখিত যে কোন সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ, এবং এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার কর্তৃক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ঘোষিত অন্য কোন রোগ;
() “পশুর মৃতদেহঅর্থে কোন পশুর মৃতদেহ বা উহার কোন অংশ বিশেষ এবং উহার মাংস, হাড় (সম্পূর্ণ, খন্ডিত বা চূর্ণ), চামড়া, লোম, চুল, পালক, শিং, ক্ষুর, রক্ত, বা উহার অন্য কোন অংশও অন্তর্ভুক্ত হইবে;
() “ফৌজদারী কার্যবিধিঅর্থ The Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898);
() “ভেটেরিনারি কর্মকর্তাঅর্থ পশু সম্পদ অধিদপ্তরের অধীন কর্মরত কোন কর্মকর্তা, যিনি Bangladesh Veterinary Practitioner Ordinance, 1982 (Ord. XXX of 1982) এর section 2(g) তে সংজ্ঞায়িত Registered Veterinary Practitioner;
() “মহাপরিচালকঅর্থ পশু সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক;
() “সংক্রমিত এলাকাঅর্থ এই আইনের ধারা এর অধীন ঘোষিত সংক্রমিত এলাকা;
() “তফসিলঅর্থ এই আইনের তফসিল;
() “বিধিঅর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; এবং
() “রোগাক্রান্তঅর্থ কোন রোগে আক্রান্ত৷

Rules and regulation for livestock aspects
UNION- R&R

পশুর রোগ সম্পর্কে তথ্য প্রদান

() প্রত্যেক পশুর মালিক, দখলকার, তত্ত্বাবধায়ক, নিয়ন্ত্রক বা কোন পশুর চিকিত্সাকালে বা অন্য কোন ভাবে কোন পশু চিকিত্সক (veterinarian) বা পশু সম্পদ অধিদপ্তরের মাঠ কর্মীর নিকট যদি এইরূপ বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, কোন পশু কোন রোগে আক্রান্ত, তাহা হইলে উক্ত মালিক, দখলকার, তত্ত্বাবধায়ক, নিয়ন্ত্রক, চিকিত্সক বা মাঠ কর্মী অনতিবিলম্বে মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ভেটেরিনারি কর্মকর্তাকে পশুর উক্ত রোগ সম্পর্কিত তথ্য লিখিতভাবে অবহিত করিবেন৷() উপ-ধারা () এর অধীন পশুর কোন রোগ সম্পর্কে তথ্য প্রাপ্তির পর, মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ভেটেরিনারি কর্মকর্তা সংক্রমিত পশু উহা রাখিবার স্থান সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা অনুসন্ধানক্রমে যদি নিশ্চিত হন যে, উক্ত রোগ সংক্রমিত স্থান সম্পর্কে আশু ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক, তাহা হইলে তিনি, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উক্ত রোগ সংক্রমিত স্থান সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷

রোগাক্রান্ত পশু পৃথকীকরণ

কোন পশুর মালিক, দখলকার, তত্ত্বাবধায়ক বা নিয়ন্ত্রক যদি এই মর্মে নিশ্চিত হন যে, উক্ত পশু রোগাক্রান্ত হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি উক্ত পশুকে অন্যান্য পশু হইতে পৃথকভাবে রাখিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন; এবং রোগাক্রান্ত নহে এমন পশু উক্ত রোগাক্রান্ত পশুর সংস্পর্শে বা নিকটে যাহাতে আসিতে না পারে তজ্জন্য, যতদূর সম্ভব, যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷

সংক্রমিত এলাকা ঘোষণা

() মহাপরিচালক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, কোন এলাকায় রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটিয়াছে, বা উক্ত রোগের বিস্তার লাভের আশংকা বা সম্ভাবনা রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত এলাকাকে সংক্রমিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবেন৷() উপ-ধারা () এর অধীন জারিতব্য প্রজ্ঞাপনে, নিম্নবর্ণিত বিষয়ের তথ্য এবং মহাপরিচালক কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য তথ্যের সুনির্দিষ্ট বিবরণ থাকিতে হইবে, যথা:-() সংক্রমিত এলাকার সীমা;
() সংক্রমিত এলাকা ঘোষণার মেয়াদ;
() সংক্রমিত এলাকায় বিস্তারলাভকারী রোগের বিবরণ;
() সংক্রমিত হইতে পারে এইরূপ পশুর বিবরণ; এবং
() পশুর মালিক, দখলকার, তত্ত্বাবধায়ক, নিয়ন্ত্রক, ভেটেরিনারি কর্মকর্তা বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীতব্য ব্যবস্থা৷
() উপ-ধারা () অনুসারে কোন এলাকাকে সংক্রমিত এলাকা বলিয়া ঘোষণা করা হইলে উহা সাধারণতঃ সরকারী গেজেটে প্রকাশের অনধিক তিন মাস মেয়াদে কার্যকর থাকিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, যদি কোন কারণে উক্ত সময়ের মধ্যে উক্ত এলাকায় রোগের প্রাদুর্ভাব বা বিস্তাররোধ করা সম্ভব না হয়, তাহা হইলে মহাপরিচালক, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত সময় অনধিক আরো তিন মাস বৃদ্ধি করিতে পারিবেন৷
() উপ-ধারা () এর অধীন কোন এলাকাকে সংক্রমিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করা হইলে, উক্ত এলাকার জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে উহার বহুল প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে৷
সংক্রমিত এলাকায় পশু পশুজাত পণ্য স্থানান্তরে বিধি-নিষেধ
() ধারা এর অধীন ঘোষিত সংক্রমিত এলাকার-() কোন স্থান হইতে উক্ত এলাকা বহির্ভূত কোন স্থানে কোন ব্যক্তি কোন পশু, জীবিত বা মৃত, বা পশুজাত পণ্য, পশুর অংশ বিশেষ বা পশু সংশ্লিষ্ট অন্য কোন পণ্য স্থানান্তর করিতে বা উক্ত ব্যক্তির মালিকানা বা তত্ত্বাবধান বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোন পশু চলাচল করাইতে পারিবে না বা সংক্রমণ বহির্ভূত কোন স্থান হইতে উক্ত এলাকায় কোন ব্যক্তি কোন পশু স্থানান্তর করিতে বা চলাচল করাইতে পারিবে না:তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে এই বিধি-নিষেধ প্রযোজ্য হইবে না, যথা:-
() ধর্মীয় আচার বা অনুষ্ঠান প্রতিপালনের প্রয়োজনে পশু আনয়ন;
() সরকারী পশু পালন খামারে পশু আনয়ন; এবং
() মহাপরিচালক বা তাঁহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ভেটেরিনারি কর্মকর্তা কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত অন্য কোন ক্ষেত্রে পশু আনয়ন;
() রোগাক্রান্ত বা রোগাক্রান্ত বলিয়া গণ্য বা রোগাক্রান্ত পশুর সংস্পর্শে আসিয়াছে এমন কোন পশুর মাংস, দুধ, ডিম বা উক্ত পশু হইতে উত্পাদিত অন্য কোন পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা যাইবে না;
() পশু বর্জ্য, পশু খাদ্য বা পশুর আবাসন হিসাবে ব্যবহৃত কোন সামগ্রী উক্ত এলাকা বহির্ভূত স্থানে স্থানান্তরে বিধি-নিষেধ আরোপ করা যাইবে৷
() উপ-ধারা () যাহা কিছুই থাকুক না কেন, রেলওয়ে বা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত অন্য যে কোন ধরনের যানবাহনের মাধ্যমে উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত পশু, পশুজাত পণ্য, পশুখাদ্য, পশু বর্জ্য, বা পশুর আবাসন হিসাবে ব্যবহৃত কোন সামগ্রী কোন সংক্রমিত এলাকার মধ্য দিয়া মহাপরিচালক কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে পরিবহন করা যাইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, যদি এইরূপ পশু, বা অন্য কোন সামগ্রী রেলওয়ে বা অন্য কোন যানবাহনের মাধ্যমে পরিবহনের কোন পর্যায়ে সংক্রমিত এলাকায় নামানো (unloaded) হয়, তাহা হইলে উপ-ধারা () এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, উহা উক্ত এলাকা হইতে পুনরায় স্থানান্তর করা যাইবে না৷
সংক্রমিত এলাকায় প্রতিষেধক টিকা প্রদান
 () যে রোগের জন্য ধারা এর অধীন কোন এলাকাকে সংক্রমিত এলাকা বলিয়া ঘোষণা করা হইয়াছে সেই রোগ প্রতিষেধক টিকাদানের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বা বাস্তবানুগ হইলে, মহাপরিচালক, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উক্ত এলাকার এইরূপ সকল প্রকার বা শ্রেণীর পশুকে প্রতিষেধক টিকা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷() উপ-ধারা () এর অধীন প্রতিষেধক টিকা প্রদানের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হইলে, সংশ্লিষ্ট পশুর মালিক, দখলকার, তত্ত্বাবধায়ক বা নিয়ন্ত্রক উক্ত টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়নার্থে প্রয়োজনীয় সহায়তা সকল ধরনের সুবিধাদি প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে৷

জীবাণুমুক্তকরণ, ইত্যাদি

() মহাপরিচালক লিখিত আদেশ দ্বারা উক্ত আদেশে উল্লিখিতরূপে সংক্রমিত পশু রাখা হইয়াছিল বা সংরক্ষিত ছিল এইরূপ কোন সেড, স্থাপনা, যানবাহন, পশু পালন খামার, পশু প্রজনন খামার, খোয়াড়, খাঁচা, অন্য কোন স্থান বা আঙ্গিনা বা পশুর খাবারের আধার বা ধারক জীবাণুমুক্তকরণের জন্য উহার মালিক, দখলকার, তত্ত্বাবধায়ক বা নিয়ন্ত্রককে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন; এবং উক্ত মালিক, দখলকার, তত্ত্বাবধায়ক বা নিয়ন্ত্রক উক্ত নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে বাধ্য থাকিবেন৷() উপ-ধারা () এর অধীন কোন পশুসেড, স্থাপনা, যানবাহন, পশুপালন খামার, পশু প্রজনন খামার, খোয়াড়, খাঁচা, অন্য কোন স্থান বা আঙ্গিনা বা পশুর খাবারের আধার বা ধারক জীবাণুমুক্তকরণের কোন আদেশ জারি করা হইলে, উক্ত আদেশ মোতাবেক জীবাণুমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত উহা পুনঃব্যবহার না করিতে ভেটেরিনারি কর্মকর্তা যথাযথ নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন৷
পশু পরীক্ষা
 () কোন ভেটেরিনারি কর্মকর্তার নিকট যদি এই মর্মে বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, কোন পশু কোন রোগে আক্রান্ত হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, তাঁহার নিকট প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত যে কোন পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন৷() উপ-ধারা () এর অধীন পরীক্ষার উদ্দেশ্যে কোন রোগাক্রান্ত পশু হইতে রক্ত, দুধ, মলমূত্র বা অন্য কোন পদার্থ সংগ্রহ করা যাইবে৷() উপ-ধারা () এর অধীন পরীক্ষার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ভেটেরিনারি কর্মকর্তা এইরূপ নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন যে,-
() তত্কর্তৃক নির্দেশিত স্থান সময়ে কোন পশুকে উপস্থিত করাইতে হইবে; এবং
() এইরূপ পশুকে তাহার অনুমতি ব্যতিরেকে উক্ত স্থান হইতে স্থানান্তর করা যাইবে না৷
() এই ধারার অধীন কোন পরীক্ষা বা টেস্টের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পশুর মালিক, দখলকার, তত্ত্বাবধায়ক বা নিয়ন্ত্রক প্রয়োজনীয় সুবিধা এবং সহযোগিতা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন৷

পোস্টমর্টেম পরীক্ষা

() ভেটেরিনারি কর্মকর্তা, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, রোগাক্রান্ত হইয়া মৃত্যু হইয়াছে বলিয়া সন্দেহযুক্ত কোন পশুর মৃতদেহের পোস্টমর্টেম পরীক্ষা পরিচালনা করিতে পারিবেন এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, উক্ত মৃত পশুর দেহের কোন অংশবিশেষ পরীক্ষাগারের পরীক্ষার প্রয়োজনে সংগ্রহ করিতে পারিবেন৷() পোস্টমর্টেম পরীক্ষার উদ্দেশ্যে কোন ভেটেরিনারি কর্মকর্তা কোন পশুর মৃতদেহ মাটি খুঁড়িয়া উত্তোলনের আদেশ প্রদানসহ তাহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন৷

রোগাক্রান্ত হইয়া মৃত্যু ঘটিয়াছে এমন পশু অপসারণ

() রোগে আক্রান্ত হইয়া মৃত্যু হইয়াছে বলিয়া সন্দেহযুক্ত কোন পশুর মৃতদেহ উহার চামড়াসহ অন্যুন ছয় ফুট মাটির নিচে পুঁতিয়া বা আগুনে পুড়াইয়া ফেলিবার মাধ্যমে ধ্বংস বা নির্ধারিত অন্য কোন পদ্ধতিতে উক্তরূপ মৃতদেহ অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে৷() ধারা ১০ এর উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তি উপ-ধারা () এর অধীন মাটির নিচে পুঁতিয়া ফেলা বা অন্য কোনভাবে অপসারিত কোন পশুর মৃতদেহ উত্তোলন বা পুনঃ সংগ্রহ করিতে পারিবেন না৷() কোন ব্যক্তি কোন রোগাক্রান্ত পশুর মৃতদেহ বা উক্তরূপ রোগাক্রান্ত পশুর সংস্পর্শে আসিয়াছে এইরূপ খড়কুটা, ঘাস, বর্জ্য বা অন্য বস্তু জনস্বাস্থ্য বা পশু স্বাস্থ্যের হুমকির কারণ হইতে পারে এমন কোন স্থানে নিক্ষেপ করিতে বা নিক্ষেপের জন্য আদেশ দিতে পারিবেন না৷

সংক্রমিত পশু বাজারজাতকরণের বিধি-নিষেধ

 ধারা এর অধীন ঘোষিত কোন সংক্রমিত এলাকার পশু বা উক্ত পশু হইতে উত্পাদিত পণ্য এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ভেটেরিনারি কর্মকর্তার অনুমতি গ্রহণ ব্যতিরেকে উক্ত এলাকায় উহা বাজারজাত করা যাইবে না৷
ডিম ফুটানোর কাজে নিয়োজিত খামার পরিদর্শন
() বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ডিম হইতে হাঁস-মুরগীর বাচ্চা ফুটানোর পূর্বে উক্ত ডিম পুলোরাম বা অন্য কোন ডিমবাহিত রোগজীবাণু বহন করে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হইবার জন্য মহাপরিচালকের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডিম ফুটানোর কাজে নিয়োজিত হাঁস-মুরগীর খামার পরিদর্শন করিতে পারিবেন৷() উপ-ধারা () এর উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, উক্ত ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডিম বা হাঁস-মুরগী পরীক্ষা করিতে পারিবেন৷() উপ-ধারা () এর অধীন পরীক্ষার সময় ডিম বা হাঁস-মুরগীতে পুলোরাম বা ডিমবাহিত অন্য কোন রোগের জীবাণু পাওয়া গেলে উক্ত ডিম বা হাঁস-মুরগী বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বা উক্ত বিধির অবর্তমানে মহাপরিচালক কর্তৃক নির্দেশিত পদ্ধতিতে ধ্বংস করা যাইবে৷

সংক্রমিত এলাকার পশুকে বাধ্যতামূলকভাবে পৃথকীকরণ চিকিত্সাকরণ

() ধারা এর অধীন ঘোষিত সংক্রমিত এলাকার-() কোন স্থান হইতে উক্ত এলাকা বহির্ভূত কোন স্থানে কোন ব্যক্তি কোন পশু, জীবিত বা মৃত, বা পশুজাত পণ্য, পশুর অংশ বিশেষ বা পশু সংশ্লিষ্ট অন্য কোন পণ্য স্থানান্তর করিতে বা উক্ত ব্যক্তির মালিকানা বা তত্ত্বাবধান বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোন পশু চলাচল করাইতে পারিবে না বা সংক্রমণ বহির্ভূত কোন স্থান হইতে উক্ত এলাকায় কোন ব্যক্তি কোন পশু স্থানান্তর করিতে বা চলাচল করাইতে পারিবে না:তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে এই বিধি-নিষেধ প্রযোজ্য হইবে না, যথা:-
() ধর্মীয় আচার বা অনুষ্ঠান প্রতিপালনের প্রয়োজনে পশু আনয়ন;
() সরকারী পশু পালন খামারে পশু আনয়ন; এবং
() মহাপরিচালক বা তাঁহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ভেটেরিনারি কর্মকর্তা কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত অন্য কোন ক্ষেত্রে পশু আনয়ন;
() রোগাক্রান্ত বা রোগাক্রান্ত বলিয়া গণ্য বা রোগাক্রান্ত পশুর সংস্পর্শে আসিয়াছে এমন কোন পশুর মাংস, দুধ, ডিম বা উক্ত পশু হইতে উত্পাদিত অন্য কোন পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা যাইবে না;
() পশু বর্জ্য, পশু খাদ্য বা পশুর আবাসন হিসাবে ব্যবহৃত কোন সামগ্রী উক্ত এলাকা বহির্ভূত স্থানে স্থানান্তরে বিধি-নিষেধ আরোপ করা যাইবে৷
() উপ-ধারা () যাহা কিছুই থাকুক না কেন, রেলওয়ে বা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত অন্য যে কোন ধরনের যানবাহনের মাধ্যমে উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত পশু, পশুজাত পণ্য, পশুখাদ্য, পশু বর্জ্য, বা পশুর আবাসন হিসাবে ব্যবহৃত কোন সামগ্রী কোন সংক্রমিত এলাকার মধ্য দিয়া মহাপরিচালক কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে পরিবহন করা যাইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, যদি এইরূপ পশু, বা অন্য কোন সামগ্রী রেলওয়ে বা অন্য কোন যানবাহনের মাধ্যমে পরিবহনের কোন পর্যায়ে সংক্রমিত এলাকায় নামানো (unloaded) হয়, তাহা হইলে উপ-ধারা () এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, উহা উক্ত এলাকা হইতে পুনরায় স্থানান্তর করা যাইবে না৷

সংক্রমিত এলাকায় বাজার, মেলা ইত্যাদির উপর বিধি-নিষে

কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা ভেটেরিনারি কর্মকর্তার লিখিত পূর্বানুমতি গ্রহণ ব্যতিরেকে কোন সংক্রমিত এলাকায় খেলাধুলা বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে, কোন পশুবাজার, পশুমেলা, পশুপ্রদর্শনী বা অন্য কোনভাবে পশুর কেন্দ্রীভূতকরণ, সংঘবদ্ধকরণ বা সমাবেশ ঘটাইতে বা উক্ত উদ্দেশ্যে কাহাকেও উত্সাহিত করিতে পারিবে না৷

পশু খামার, পশুজাত দ্রব্য প্রক্রিয়াজাত কারখানা ইত্যাদির জন্য নিবন্ধন

() উপ-ধারা () এর বিধান সাপেক্ষ, নিবন্ধন ব্যতীত বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তি-() কোন স্থান বা আঙ্গিনায় পশু হাসপাতাল স্থাপন, পরিচালনা বা চিকিত্সা সেবা প্রদান করিবেন না;() গবাদি পশুর খামার, হাঁস-মুরগীর খামার স্থাপন পরিচালনা করিবেন না;
() পশুজাত পণ্য-প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপন পরিচালনা করিবেন না;
() প্রজননের উদ্দেশ্যে শুক্রাণু সংগ্রহ প্রক্রিয়াজাতকরণ করিবেন না; এবং
() প্রজননের উদ্দেশ্যে কোন গরু বা মহিষের ষাঁড়, পাঠা বা অন্য কোন পশু পালন এবং ভ্রূণ উত্পাদন প্রতিস্থাপনের উদ্দেশ্যে দাতা গাভী, ছাগী বা অন্য কোন পশু পালন করিবেন না৷
() নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে কোন নিবন্ধন প্রয়োজন হইবে না, যথা:-
() সরকার কর্তৃক স্থাপিত বা পরিচালিত কোন পশু হাসপাতাল, গবাদি পশু খামার, হাঁস মুরগীর খামার বা পশুজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাত কারখানা স্থাপন পরিচালনা;
() সরকার কর্তৃক প্রজননের উদ্দেশ্যে শুক্রাণু সংগ্রহ প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্রজননের উদ্দেশ্যে কোন ষাঁড়, পাঠা বা অন্য কোন পশু পালন, ভ্রূণ উত্পাদন ভ্রূণ প্রতিস্থাপনের উদ্দেশ্যে দাতা গাভী বা ছাগী বা অন্য কোন পশু পালন; এবং
() পারিবারিক ব্যবহারের উদ্দেশ্যে স্থাপিত পরিচালিত হাঁস-মুরগীর খামার বা পশুখামার এবং উক্ত খামারে প্রজননের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত সংখ্যক ষাঁড়, পাঠা বা অন্য কোন পশু পালন৷

নিবন্ধন প্রদান-পূর্ব পরিদর্শন, ইত্যাদি

ধারা ১৮ এর অধীন কোন নিবন্ধন প্রদানের পূর্বে মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ভেটেরিনারি কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের স্থান, গবাদিপশুর খামার, হাঁস-মুরগীর খামার এবং পশুজাত পণ্য প্রক্রিয়াজতকরণ কারখানা পরিদর্শন বা আবেদনকারীর নিকট হইতে অন্য কোন তথ্য সংগ্রহ করিতে পারিবেন৷
নিবন্ধন প্রদান, ইত্যাদি
() ধারা ১৬ উল্লিখিত কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ভেটেরিনারি কর্মকর্তা নির্ধারিত নিবন্ধন সনদ প্রদান করিবেন৷() নিবন্ধন সনদ প্রাপ্তির জন্য প্রতিটি আবেদন মহাপরিচালক বা উপ-ধারা () এর অধীনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ভেটেরিনারি কর্মকর্তার নিকট নির্ধারিত পদ্ধতি, শর্ত এবং ফিস প্রদানক্রমে দাখিল করিতে হইবে৷() উপ-ধারা () এর অধীন দাখিলকৃত আবেদন, এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি অনুসারে, মঞ্জুর বা নামঞ্জুর করা যাইবে, এইরূপ আবেদন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ভেটেরিনারি কর্মকর্তা অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলি বিবেচনা করিবেন, যথা:-
() আবেদনে উল্লিখিত কার্যাবলী পরিচালনার জন্য তাহার প্রয়োজনীয় আর্থিক সঙ্গতি আছে কিনা;
() আবেদনে উল্লিখিত কার্যাবলী ধারা ১৬ উল্লিখিত কার্যাবলী সম্পাদনের মূল উদ্দেশ্যের সহিত সঙ্গতিপূর্ণ কিনা; এবং
() নিবন্ধন প্রদান করা হইলে উহা জনস্বাস্থ্য রক্ষা পরিবেশ সংরক্ষণের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হইবে কিনা৷
() এই ধারার অধীন প্রদত্ত নিবন্ধন সনদে উহার মেয়াদ, নবায়নের সময় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লিখিত থাকিবে৷
() এই ধারার অধীন প্রদত্ত প্রতিটি নিবন্ধন সনদ নবায়নযোগ্য হইবে এবং নবায়নের জন্য আবেদনকারীকে নির্ধারিত ফিস প্রদান করিতে হইবে৷
() মহাপরিচালক বা তাঁহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ভেটেরিনারি কর্মকর্তা-
() উপ-ধারা () এর অধীন আবেদন দাখিলের ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে উহা মঞ্জুর করার বা নামঞ্জুর করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন; এবং
() মঞ্জুর করিবার ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে নিবন্ধন সনদ প্রদান করিবেন;
() নামঞ্জুর করিবার (সাত) দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণসহ উহা আবেদনকারীকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন; এবং
() ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব না হইলে, সংশ্লিষ্ট কারণ উল্লেখপূর্বক, বিলম্বের বিষয়টি যথাশীঘ্র সম্ভব আবেদনকারীকে অবহিত করিবেন এবং উক্ত সময়ের পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে এতদ্বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন৷

নিবন্ধন সনদের অনুলিপি সংরক্ষণ

ধারা ১৮ এর অধীন প্রদত্ত প্রতিটি নিবন্ধন সনদের অনুলিপি সংরক্ষণ করিতে হইবে৷

নিবন্ধন বাতিলকরণ, ইত্যাদি

 () এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহাই থাকুক না কেন, মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ভেটেরিনারি কর্মকর্তা যে কোন নিবন্ধন বাতিল করিতে পারিবেন, যদি যুক্তিসঙ্গত কারণে তিনি মনে করেন যে, নিবন্ধন গ্রহীতা-() এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির কোন বিধান ভঙ্গ করিয়াছেন; এবং() এই আইনের অধীন কোন অপরাধের জন্য দণ্ডিত হইয়াছেন৷
() নিবন্ধন গ্রহীতাকে অন্যুন ১৫ (পনের) দিনের কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান না করিয়া উপ-ধারা () এর অধীন কোন নিবন্ধন বাতিল করা যাইবে না৷
() উপ-ধারা () এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ দ্বারা কোন নিবন্ধন গ্রহীতা সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, আদেশটি যদি-
() কোন ভেটেরিনারি কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকে, তাহা হইলে মহাপরিচালকের নিকট; এবং
() মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকে, তাহা হইলে সরকারের নিকট, আপীল করিতে পারিবেন৷
() উপ-ধারা () এর অধীন আপীল আবেদন দাখিলের সময় হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে এতদ্বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান করিতে হইবে৷
() উপ-ধারা () উল্লিখিত আপীল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷
() এই ধারার অধীন নিবন্ধন বাতিল করা হইলে উক্তরূপ বাতিলের কারণে কোন প্রকার ক্ষতি হইলে নিবন্ধন গ্রহীতা ক্ষতিপূরণের দাবী করিয়া কোন আদালত বা কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন না৷

বিদ্যমান গবাদি পশুর খামার, হাঁস মুরগীর খামার ইত্যাদির ক্ষেত্রে নিবন্ধন

এই আইন বলবত্ হওয়ার সময় বিদ্যমান পশু হাসপাতাল, গবাদি পশুর খামার, হাঁস মুরগীর খামার বা পশুজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা, গরু বা মহিষের ষাঁড়, পাঠা বা অন্য কোন পশু পালন এবং ভ্রূণ উত্পাদন প্রতিস্থাপনের উদ্দেশ্যে দাতা গাভী, ছাগী বা অন্য কোন পশু পালনের ক্ষেত্রে এই আইন বলবত্ হওয়ার (ছয়) মাসের মধ্যে এই আইনের বিধান অনুসারে নিবন্ধন গ্রহণ করিতে হইবে৷
কোম্পানী ইত্যাদি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
কোন কোম্পানী কর্তৃক এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে কোম্পানীর এমন প্রত্যেক পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব, অংশীদার, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন৷ব্যাখ্যা- এই ধারায়-() “কোম্পানীবলিতে কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারী কারবার, সমিতি, সংঘ এবং সংগঠনও অন্তর্ভুক্ত; এবং
() বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেপরিচালকবলিতে উহার কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যকেও বুঝাইবে৷

অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ বিচার

() ভেটেরিনারি কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন মামলা বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না৷() এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে৷
অপরাধের আমলঅযোগ্যতা জামিনযোগ্যতা
এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ আমলঅযোগ্য (non-cognizable) জামিনযোগ্য (bailable) হইবে৷

দণ্ড

যদি কোন ব্যক্তি এই আইন, বা তদধীন প্রণীত বিধির কোন বিধান লংঘন করেন বা তদনুযায়ী দায়িত্ব সম্পাদনে বা আদেশ নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে তিনি অনুরূপ লংঘন বা ব্যর্থতার দায়ে অনূর্ধ্ব দুই বত্সর কারাদণ্ড, বা অনূর্ধ্ব ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

আপীল

 ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত কোন রায় বা আদেশের বিরুদ্ধে এখতিয়ারসম্পন্ন সংশ্লিষ্ট দায়রা আদালতে আপীল করা যাইবে৷

ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ

এই আইনের অধীন অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপীল অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষ, ফৌজদারী কার্যবিধি প্রযোজ্য হইবে৷

দায়মুক্তি

মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ভেটেরিনারি কর্মকর্তা, এই আইন তদধীন প্রণীত বিধির বিধান সাপেক্ষ, যুক্তিসঙ্গত সময়ে, তাহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সহায়তা সহকারে নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে যে কোন খামার, পশু রাখিবার স্থান, ভূমি, দালান-কোঠা বা পশুজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাত কারখানা, অন্য কোন স্থান বা যানবাহনে প্রবেশ করার অধিকারী হইবেন, যথা:-() এই আইন বা বিধির অধীন তাহার উপর অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন;() রোগাক্রান্ত পশু পরীক্ষা;
() রোগাক্রান্ত পশু দ্বারা সংক্রমিত হইয়াছে এইরূপ পশু পরীক্ষা;
() পশু হইতে উত্পাদিত পণ্য পরীক্ষা;
() সংক্রামক রোগে আক্রান্ত পশুর ব্যবহার্য দ্রব্যাদি, খড়, ঘাস ইত্যাদি পরীক্ষা; এবং
() সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে প্রদত্ত অন্য কোন দায়িত্ব সম্পাদন৷

ক্ষমতার্পণ

মহাপরিচালক এই আইনের অধীন তাহার কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব, প্রয়োজনবোধে, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, তাহার অধস্তন যে কোন ভেটেরিনারি কর্মকর্তা বা পশু সম্পদ অধিদপ্তরের অন্য কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবেন৷

বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

 এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
ইংরেজী অনূদিত পাঠ প্রকাশ
এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজীতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশ করিবে, যাহা এই আইনের অনুমোদিত ইংরেজী পাঠ (Authentic English Text) নামে অভিহিত হইবে:তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন উক্ত ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে এই আইন প্রাধান্য পাইবে৷

রহিতকরণ হেফাজত

() এই আইন প্রবর্তনের সংগে সংগে-() The Glanders and Farcy Act, 1899 (Act XIII of 1899); এবং() The Diseases of Animals Act (Ben. Act VI of 1944), রহিত হইবে৷
() উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও, এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিতপূর্বে রহিতকৃত কোন আইনের অধীন কোন কার্য বা কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন থাকিলে, উক্ত কার্য বা কার্যধারা উক্ত রহিতকৃত সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান অনুসারেই এইরূপে নিষ্পত্তি করিতে হইবে, যেন এই আইন প্রবর্তিত হয় নাই৷




No comments:

Post a Comment