Monday, 7 November 2016

গরুর জলাতংক রোগের লক্ষণ, করণীয় ও প্রতিশেধক ব্যবস্থা

জলাতঙ্ক 

জলাতঙ্ক মূলত একটি ভাইরাসজনিত মরণব্যাধি। এর ইংরেজী নাম র‌্যাবিস। এটি ল্যাটিন শব্দ। যার অর্থ ‘পাগলামী করা’। জলাতঙ্ক আক্রান্ত পশু বা রোগীর আচরণ থেকেই এই নামকরণের সূত্রপাত। সাধারণত কুকুর, বিড়াল, শেয়াল, বেজি, বানর, চিকা ইত্যাদি গরম রক্ত বিশিষ্ট প্রাণীই জলাতঙ্কের বাহক।জলাতঙ্ক আক্রান্ত যে কোন প্রাণীর কামড়,আচড় এমনকি এদের লেহনেও জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে। বাংলাদেশে জলাতঙ্ক রোগের মূল কারণ জলাতঙ্ক আক্রান্ত কুকুর।এ রোগের লক্ষণ জল দেখলেই ভয় পাওয়া,জল খাওয়া বা পান করার সময় খাদ্য নালীর উর্ধভাগের মাংসপেশীতে ব্যথাসহ তীব্র সংকোচন হতে পারে। এ জন্যই এর নাম জলাতঙ্ক। এই জলাতঙ্কে আক্রান্ত হলে কুকুর এবং মানুষ উভয়েরই মৃত্যু অনিবার্য।তিনি জানান, একটু সচেতন হলেই এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

a disease caused by rabis virus after bit by the crazy animal
UNION-Rabis Disease

 লক্ষণ

পশু কান সজাগ চোখ বড় করে রাখে মুখ দিয়ে প্রচুর লালা ঝরে পানি পিপাসা হয়, তবে পান করতে পারে না ভীষণভাবে অশান্ত হয়ে উঠে শক্ত রশি ছাড়া আটকে রাখা যায় না সামনে যা পায় তা কামড়ানোর চেষ্টা করে আক্রান্ত পশু পরিশেষে নিস্তেজ অবশ হয়ে মারা যায়

rabis virus related disease
UNION-Rabis Disease be aware from it

করণীয়


  • যেসব প্রাণীর আঁচড় বা কামড়ে জলাতঙ্ক হয়, যেমন-কুকুর, বিড়াল, শেয়াল প্রভৃতি থেকে সাবধান থাকা এবং তাদের সংস্পর্শে না আসা বিশেষ করে বাচ্চাদের দূরে রাখা
  • গৃহপালিত কুকুর-বিড়ালকে নিয়মিত টিকা দেওয়া
  • রাস্তায় বেওয়ারিশ টিকা না দেওয়া কুকুর-বিড়াল মেরে ফেলার ব্যবস্থা করা
  • কুকুরে না কামড়ালেও আগে থেকে টিকা দেওয়া যায়। , , ২১ অথবা ২৮তম দিনে তিন থেকে চারটি টিকা দিতে হবে। টিকা দেওয়ার প্রথম দিনকেধরতে হবে। সবাই টিকা নিতে পারে
  • কুকুর কামড়ালে ক্ষতস্থান সাবান পানি দিয়ে অন্তত ১০ মিনিট ধরে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর দিতে হবে পভিডন আয়োডিন। ক্ষতস্থান ব্যান্ডেজ, কাপড় বা অন্য কিছু দিয়ে কখনো ঢাকা যাবে না
  • জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে এমন কুকুর বা অন্য পশু কামড় বা আঁচড় দিলে সঙ্গে সঙ্গে টিকা নেওয়া উচিত। , , , ১৪ ২৮তম দিনে টিকা দিতে হয়। আগে বলা হতো, কোনো কুকুর কামড়ালে সেই কুকুরকে ১০ দিন পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং ১০ দিনের মধ্যে কুকুরটি মারা না গেলে টিকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এখন সে ধারণা সত্য নয় বলে প্রমাণিত হয়েছে। সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে ৫০০ জন জলাতঙ্ক রোগীর মধ্যে গবেষণা করে দেখা গেছে, এর মধ্যে ৭৫ জনের ক্ষেত্রেই দায়ী কুকুরগুলো দীর্ঘদিন জীবিত ছিল। তা ছাড়া সম্পূর্ণ সুস্থ কুকুরও জলাতঙ্কের জীবাণু বয়ে বেড়াতে পারে। বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক নজরুল ইসলাম সম্পূর্ণ সুস্থ পাঁচটি কুকুর মেরে সেগুলোর মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে দেখেছেন, প্রতিটির মধ্যেনেগরি-বডিরয়েছে, যা ভাইরাসের উপস্থিতি প্রমাণ করে। সুতরাং বাইরে থেকে আপাত সুস্থ দেখতে কুকুরের মধ্যেও জলাতঙ্কের জীবাণু থাকতে পারে। তাই কুকুরে কামড়ালে দেরি না করে টিকা নেওয়া উচিত। সঙ্গে দিতে হবে ইমিউনোগ্লোবিওলিন ইনজেকশন

প্রতিশেধক

পোষা কুকুর / বিড়ালকে নিয়মিত প্রতিশেধক টিকা দিতে হবে। টিকা দেয়া হয়নি এমন পশুর কামড়ে মানুষ / পশু আক্রানত্ম হলে অনতিবিলম্বে নির্ধারিত মাত্রায় প্রতিশেধক টিকা দিতে হবে

No comments:

Post a Comment